রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ সড়কে পুমার নতুন বিক্রয়কেন্দ্র চালু হয়েছে। এটি বাংলাদেশে বিশ্বখ্যাত এই স্পোর্টস ব্র্যান্ডের দ্বিতীয় বিক্রয়কেন্দ্র। ২০১৯ সালে ডিবিএল গ্রুপের হাত ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করে পুমা। রোববার বিক্রয়কেন্দ্রটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিবিএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ, ভাইস চেয়ারম্যান এম এ রহিম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডিবিএলের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পুমার নতুন বিক্রয়কেন্দ্রে স্পোর্টস স্টাইল, রানিং, ট্রেনিং ও ফিটনেস লাইনআপের অধীনে সব পণ্যই পাওয়া যাবে। যার মধ্যে নানা নকশার জুতা, টি-শার্ট, পলো শার্ট, ব্যাকপ্যাক, ট্রাভেল ব্যাগ, হাতব্যাগ, জ্যাকেট, ক্যাপ, স্পোর্টস ব্যাগ, রানিং শু, ওয়াকিং শু ইত্যাদি। রুডলফ ড্যাজলার নামের একজন জার্মান ১৯৪৮ সালে পুমা ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ১২০টির বেশি দেশে ব্যবসা রয়েছে। এর কর্মীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৩০০। গত বছর বিশ্বের ৩১ দেশের ১৩৯ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পুমার পণ্য উৎপাদন করেছে। ব্র্যান্ডটির জুতাসহ অন্যান্য পণ্যের প্রায় ৩৫ শতাংশ ভিয়েতনামে ও ২৬ শতাংশ চীনে তৈরি হয়। পুমার তৃতীয় সর্বোচ্চ (বিশেষ করে পোশাক) ১৪ শতাংশ পণ্য সরবরাহকারী হচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে ছিল ১৩ শতাংশ।
পুমার আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার মধ্যে গত বছর পুমা ৫২৩ কোটি ইউরোর পণ্য বিক্রি করেছে। এই আয় তার আগের বছরের চেয়ে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ কম। ২০১৯ বছর বিক্রি হয়েছিল ৫৫০ কোটি ইউরোর পণ্য। তার আগের বছর পুমার বিক্রি ছিল ৪৬৪ কোটি ৮৩ লাখ ইউরো। পুমার ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, পুমার মোট বিক্রির মধ্যে অধিকাংশই জুতা। গত বছর ৫২৩ কোটি ইউরোর মধ্যে ২৩৬ কোটি ইউরোর জুতা, ১৯৭ কোটি ইউরোর কাপড় ও ৮৯ কোটি ইউরোর অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি হয়েছে।
রুডলফ ড্যাজলার ও তাঁর বড় ভাই অ্যাডলফ ড্যাজলার ১৯২০ সালে জার্মানির হ্যারজজেনুরেখে প্রতিষ্ঠা করেন জুতা তৈরির কোম্পানি ড্যাজলার ব্রাদার্স শু ফ্যাক্টরি। বেশ জনপ্রিয়তা পায় তাঁদের এই কোম্পানি। বিখ্যাত দৌড়বিদ জেসি ওয়েনস ব্যবহার করতেন তাঁদের তৈরি জুতাই। জনপ্রিয় এই মার্কিন ক্রীড়াবিদ বার্লিনে অনুষ্ঠিত ১৯৩৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ১০০ মিটার, ২০০ মিটার, লং জাম্প ও ৪০০ মিটার রিলে দৌড়ে স্বর্ণপদক জয় করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। এমনই রমরমা অবস্থা ছিল ড্যাজলার ব্রাদার্স শু ফ্যাক্টরির।