২৬ বছর আগে চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করা এস এম খালেদ এখন একজন সফল ব্যবসায়ী। গড়ে তুলেছেন স্নোটেক্স গ্রুপ। রপ্তানির পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের জন্য গড়েছেন ‘সারা লাইফস্টাইল’ নামের পোশাকের খুচরা বিক্রির ব্র্যান্ড। এ নিয়েই এবারের মূল আয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি মোটরসাইকেল নিয়ে এখানে-সেখানে ছুটে বেড়াতেন। সংবাদ সংগ্রহে। দেশসেরা রাজনীতিবিদদের সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন পেশাগত কাজে। সেসব সাক্ষাৎকার ও বিভিন্ন সংবাদ ছাপা হয় জাতীয় এক ইংরেজি পাক্ষিকে। বেতন ছিল মাসে দেড় হাজার টাকা। এই টাকার পুরোটাই আবার মোটরসাইকেলের জ্বালানি আর রক্ষণাবেক্ষণেই শেষ।
সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে দুই বছরের কম সময়ে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। চাকরির ফাঁকে ফাঁকে বন্ধুদের সঙ্গে ব্যবসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। চাকরি, বন্ধুদের সঙ্গে ব্যবসা—কোথাও যখন সফলতার দেখা মিলছিল না, তখন একপর্যায়ে শূন্য হাতে একাই নেমে পড়েন ব্যবসায়। পুঁজি বলতে একটি কম্পিউটার, একজন কর্মী আর জমানো সামান্য কিছু অর্থ। শুরুতে নিজের বাসাকেই বানালেন ব্যবসায়িক কার্যালয়। সেই ব্যবসায়ী এস এম খালেদ রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের সামনের সারির একজন উদ্যোক্তা। ২৬ বছর আগে দেড় হাজার টাকা বেতনের সাংবাদিকতা ছেড়ে আসা এস এম খালেদ এখন একজন সফল ব্যবসায়ী। রপ্তানির পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের জন্য গড়ে তুলেছেন ‘সারা লাইফস্টাইল’ নামের পোশাকের খুচরা বিক্রির ব্র্যান্ড।
এস এম খালেদের গড়ে তোলা স্নোটেক্স গ্রুপের চারটি পোশাক কারখানায় বর্তমানে কাজ করেন প্রায় ১৬ হাজার কর্মী। বছরে তাঁর প্রতিষ্ঠানের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ২৫ কোটি ডলার বা ২ হাজার ১২৫ কোটি টাকা।
সংবাদকর্মী থেকে সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনের গল্প জানতে গত বুধবার স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদের সঙ্গে প্রথম আলোর দীর্ঘ আলাপ হয়। মিরপুরে স্নোটেক্সের করপোরেট কার্যালয়ে যখন ব্যবসায়ী খালেদ তাঁর ফেলে আসা দিনের কথা শুরু করলেন, বাইরে তখন ঝুম বৃষ্টি। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে এগিয়ে চলে আলাপ। একে একে নিজের ছেলেবেলা, সাংবাদিকতা, চাকরির জন্য দৌড়ঝাঁপ, প্রথম ব্যবসায় ব্যর্থতার পর অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে পুনরায় ব্যবসা শুরু, প্রথম ক্রয়াদেশ, নিজের পরিবার, অবসর ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা বললেন এস এম খালেদ।